বিডি ক্লিন রংপুর এর দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি ফিরে পেলো তার আসল রুপ - Provat Bangla tv

বিডি ক্লিন রংপুর এর দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমে দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি ফিরে পেলো তার আসল রুপ - Provat Bangla tv 



বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সাক্ষী হিসাবে রংপুরে বেশ কয়েকটি বধ্যভূমি আছে তার মধ্য অন্যতম হলো রংপুরের দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি।
দীর্ঘ দিন অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকার কারনে বধ্যভূমি হারিয়ে ফেলে তার আসল রুপ। 
ঠিক সেই মুহুর্তে গত কাল শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে বিডি ক্লিন রংপুর এর অক্লান্ত পরিশ্রমে ফলে ৭১ বধ্যভূমি ফিরে পায় তার আসল রুপ।
উক্ত কার্যক্রমের নেতৃত্বে ছিলেন বিডি ক্লিন রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক মোঃ মাহাবুবুজামান মাসুম।



রংপুরের দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি
যেখানে হত্যা করা হয়েছিল রংপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সবার প্রিয় জররেজ (শহীদ এ্যাডঃ ইয়াকুব মাহফুজ আলী, যিনি ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ রংপুর শহরের নবাবগঞ্জ বাজারে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন) সহ ১১ জন বাঙ্গালীকে।



৭১ সালের ৩ এপ্রিল, শনিবার। রংপুর জেলায় ঘটেছিল এক অকল্পনীয় হত্যাযজ্ঞ। হটাৎ করেই মধ্য রাতে দখিগঞ্জ শ্মশানের কাছে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে আশপাশের মানুষের। ঠিক ২৫ মার্চের কালো রাত্রির মতোই। রংপুরবাসী কোন দিন কল্পনাও করতে পারেনি হাত পা বাঁধা অবস্থায় এমনভাবে বাঙ্গালীদের হত্যা করতে পারে পাক হানাদার বাহিনী। রংপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সবার প্রিয় জররেজ ভাই সহ ১১ জন বাঙ্গালীকে দখিগঞ্জ শ্মশানে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় লাইন ধরে দাঁড় করে গুলি চালিয়ে হত্যা করে হায়েনার দল। গুলিবিদ্ধ এক জন আর একজনের উপরে ঢলে পরে। নিমিষেই ঝরে যায় তরতাজা প্রাণ।



সেই ধ্বংসযজ্ঞের সময় একজন অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। সেই ব্যক্তি হচ্ছেন রংপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব তাজহাটের দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক (মন্টু ডাক্তার)।

সে রাতে দখিগঞ্জ শ্মশানে 
সৈন্যদের হাতে যারা শহীদ হন তারা হলেন 

১) শহীদ এ্যাডঃ ইয়াকুব মাহফুজ আলী (জররেজ)। সকলের প্রিয় জররেজ ভাই । ২) মোহাম্মদ মহরম ৩) শ্রী গোপাল চন্দ্র, ৪) উত্তম কুমার অধিকারী ৫)দুলাল মিয়া ৬) রফিক আলী ৭) সতীশ হাওলাদার ৮) দুর্গা দাস অধিকারী ও আরো দু’জন যাদের নাম পাওয়া যায়নি।



আজো কালের সাক্ষী হয়ে আছে রংপুরের দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি। বেশ কয়েক বছর আগে ঐ এলাকায় শহীদদের নাম লেখা একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়েছে।



দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে হারিয়ে ফেলেছে তার উজ্জ্বল রঙের আভা; ভরে গিয়েছিল বিভিন্ন জংলি গাছপালা দিয়ে। অমর কীর্তিমানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিডি ক্লিন রংপুর পরিবার পরিচ্ছন্ন করে তোলে এই দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমিটি।

সংবাদ সংগ্রহ ও সংযোজন
ইয়াসির আরাফাত শুভ

Comments