রংপুর নগরীতে নারকীয় ভাবে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা ও প্রেমিকার বোন খুন হয়েছ! Provat Bangla tv
রংপুরের গণেশপুরে নিজ বাসা থেকে দুই বোনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি করেন নিহত জান্নাতুল মাওয়ার বাবা মমিনুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরে গণেশপুর এলাকা থেকে সুমাইয়া আক্তার মীমের মরদেহ ঘরের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত ও তার চাচাতো বোন জান্নাতুল মাওয়ার মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন জান্নাতুল মাওয়ার বাবা। এডিসি (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হত্যার মূল রহস্য জানার চেষ্টা করছি। এরইমধ্যে বিভিন্ন আলামত উদ্ধারসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছি। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মীম ও মাওয়ার পরিবারের লোকজনকে থানায় নেয়া হয়। পাশাপাশি ওই রাতেই নগরীর উত্তর বাবখা থেকে মাহফুজার রহমান রিফাত ও সদর উপজেলার লাহিড়িরহাট এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম নামে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আটক রিফাত ও আরিফুল নগরীর মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারা দুইজন বন্ধু। নিহত মীমও ওই মাদরাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। রিফাতের সঙ্গে নিহত মীমের প্রেম ছিল। প্রেমের সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড় বোনকে প্রেমিকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলায় ছোট বোনকে খুন করা হয়। পরে প্রেমিকার সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে হত্যার পর মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে প্রেমিক পালিয়ে যান। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে নিহত দুই বোনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জান্নাতুল মাওয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,
Comments
Post a Comment