এ বছর দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পেলেন বেরোবির শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ Provat Bangla tv
এ বছর দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পেলেন
বেরোবির শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ Provat Bangla tv
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ইয়াসির আরাফাত শুভ
এ বছর দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পেলেন বেরোবির শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ Provat Bangla tv
দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পেলেন ড. তুহিন ওয়াদুদ
রংপুর: উদ্ভিদ সংরক্ষণ, নদী বিষয়ক গবেষণা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তরুপল্লব দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পেলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর একটি মিলনায়তনে ড. তুহিন ওয়াদুদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, দ্বিজেন শর্মা আমাদের মধ্যে প্রকৃতি প্রেম বেশি করে জাগিয়ে তুলেছেন। এখন তার দেখানো পথে আমাদের হাঁটতে হবে। তিনি সবাইকে প্রকৃতি প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হতে আহ্বান জানান।
পুরস্কার পেয়ে ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় মরুভূমি ছিল, আমরা সেখানে দুশোরও বেশি প্রজাতির প্রায় ৩৫ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এটা আমার একার অর্জন নয়, আমার অনেক শিক্ষার্থীসহ অনেকেই এতে সহযোগিতা করেছেন৷
আমাদের দেশের দখল-দূষণে থাকা সব নদী উদ্ধার করতেই হবে।
সেজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি৷
তিনি বলেন, এ পুরস্কার প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল। প্রতিবছর দ্বিজেন শর্মার মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এবছর কোভিডজনিত কারণে একটু বিলম্বে এ পুরস্কার দেওয়া হলো।
ড. তুহিন ওয়াদুদ ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বোতলারপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর ২০০৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। প্রথমে ২০০৬ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে পেশাজীবনের শুরু করেন। তারপর ২০০৯ সালে রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যতম বৃক্ষপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ব্যক্তি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় ৩৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছেন। সেই ৩৫ হাজার বৃক্ষ এখন গোটা ক্যাম্পাসকে সবুজে মুড়িয়ে রেখেছে।
দেশের নদী নিয়ে তিনি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলোয় শতাধিক নিবন্ধ লিখছেন। এ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের দুই শতাধিক নদী পরিদর্শন করেছেন, নদীর বর্তমান অবস্থা দেখেছেন, তথ্য সংগহ করেছেন, নদীর ছবি তুলেছেন এবং রচনা করেছেন ‘রংপুর অঞ্চলের নদ-নদী’ শীর্ষক গ্রন্থ। এছাড়া নদীবিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপলের’ সক্রিয় পরিচালকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি পোস্ট ডক্টারাল ফেলোশিপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও সাহিত্যে বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রভাব’ বিষয়ে গবেষণা করছেন।
Comments
Post a Comment