বিজয় দিবসে বিকৃত জাতীয় পতাকা বানিয়ে সমালোচনার মুখে রংপুরে বেরোবি শিক্ষকরা - Provat Bangla tv
বিজয় দিবসে বিকৃত জাতীয় পতাকা বানিয়ে সমালোচনার মুখে রংপুরে বেরোবি শিক্ষকরা Provat Bangla tv
বিজয় দিবসে নিজেদের মতো করে তৈরি করা জাতীয় পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলা ছবি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। ছবিটি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। ছবিতে দেখা যায় ডিজাইন পরিবর্তন করে ওই শিক্ষকরা সবুজের মধ্যে লাল বৃত্তের পরিবর্তে চতুর্কোনা লাল আকৃতি দিয়ে তৈরি করা জাতীয় পতাকা ধরে ক্যাম্পাসে ছবি তোলেন। পরে ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের নজরে পড়লে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
ছবিতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীম হোসাইন, ইতিহাসের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলী, মার্কেটিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাসুদুল হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রাম প্রসাদ, সহকারী অধ্যাপক কাইয়ুম এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বাসক রহমতউল্লাহ তাদের মতো করে বানানো পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।
তবে বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, স্মৃতিসৌধ থেকে ফেরার পথে আমি শিক্ষকদের সঙ্গে দাঁড়াই, সেখানে কেমন পতাকা সামনে ছিল তা আর খেয়াল করিনি।
তাদের ছবিসহ নিজের ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষক। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন- আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত, কারণ এরা সবাই ‘শিক্ষক’!
তার স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা! পতাকার ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃত্ত না দিয়ে, চারকোনার মতো আকৃতি দেয়া হয়েছে। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কী উদ্দেশ্য, কেন পতাকার ডিজাইন পরিবর্তন করা হলো, ১/১১-এর কুশীলব না স্বাধীনতা বিরোধী, কারা তারা, কে পেছনে তা জনগণ জানতে চায়। এটা কোন খেলনা নয় যে পরিবর্তন করা যায়। জাতীয় পতাকা আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ। রাষ্ট্রবিরোধী কাণ্ড। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এটাই প্রধান কর্মসূচি! আলোকসজ্জাও হয়নি ক্যাম্পাসে। ছবিতে যারা আছেন তাদের একজন ডিন, একজন প্রভোস্ট, একজন সহকারী প্রক্টর, দুজন সহকারী প্রভোস্ট। এরা সবাই দায়িত্বশীল, উপাচার্যের নিয়োগপ্রাপ্ত ও ঘনিষ্ঠজন! এরাই বিশ্ববিদ্যালয় চালায়।’
এরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শিক্ষকদের বিজয় দিবসে কোন অনুষ্ঠানে ডাকে না, অংশগ্রহণ করতে দেয় না বলেও ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন মাহমুদুল হক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাত্র জাতীয় পতাকার আকৃতি পরিবর্তনের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে অনেকেই তাদের তীব্র সমালোচনা করেন কমেন্ট বক্সে।
এ ব্যাপারে একাধিকবার ফোন করেও নিজেদের বানানো পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষকদের মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
Comments
Post a Comment